একুশের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে মানবিক উদ্যোগ।

✨একুশের শহীদ সমাবেশ থেকে ফিরে গভীর রাতে আদ্রা স্টেশনে ক্ষুধার্ত যাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি তুফান কুমার রায়। পড়ুন মানবিকতার এই সুন্দর উদ্যোগের সম্পূর্ণ খবর।🍛


ekusher samabesh theke ferar pothe manobik udjog


✅একুশের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে মানবিক উদ্যোগ: আদ্রা স্টেশনে তৃণমূলের খাদ্যসেবা 🍚✨❤️

🌟 ঘটনার সূচনা

২১ জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক আয়োজন। প্রতিবছর ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা এই সমাবেশে হাজির হন লক্ষাধিক মানুষ। 

এ বছরও পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য কর্মী-সমর্থক শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনার জন্য রওনা দেন কলকাতার দিকে।

তবে সমাবেশ শেষে রাত গভীর হয়ে যায়। কলকাতা থেকে পুরুলিয়া ফেরার দীর্ঘ পথ শেষ করে যখন যাত্রীরা আদ্রা স্টেশনে পৌঁছান, তখন স্টেশন চত্বরে থাকা সব খাবারের দোকান বন্ধ। 

ফলে দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্ত যাত্রীদের সামনে দেখা দেয় সবচেয়ে বড় সমস্যা – ক্ষুধা


🍚 মানবিকতার মশাল হাতে তুফানবাবু

এমন পরিস্থিতিতেই সামনে আসেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি তুফান কুমার রায়। 

তিনি বুঝতে পারেন, যাত্রীরা কেউ আদ্রা থেকে ১০ কিমি দূরে, কেউ আবার ৪০ কিমি দূরের গ্রামে থাকেন। 

গভীর রাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় নেই। ফলে অনেকেই স্টেশনে রাত কাটাতে বাধ্য।

এই কারণেই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেন – মুড়ি, ঘুগনি, কাঁচা লঙ্কা ও জল বোতল। স্টেশন চত্বরে তৈরি হয় ছোট্ট কিন্তু অত্যন্ত মানবিক একটি আয়োজন। তুফানবাবু নিজে হাতেই খাদ্য বিতরণ করেন।


🗣️ তুফানবাবুর বক্তব্য

তুফানবাবু বলেন:

“আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের পাশে থাকতে বলেন। তাঁর চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখে আমি প্রতি বছর এই আয়োজন করি। আমার লক্ষ্য একটাই—কেউ যেন অভুক্ত না থাকে।”

তিনি আরও বলেন,

“অনেক কর্মী বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন না রাতে। তারা যদি অভুক্ত থেকে রাত কাটান, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমি এই আয়োজন করেছি।”


❤️ স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্বতী মূর্মু বলেন:

“গভীর রাতে আদ্রায় পৌঁছানোর পর ভেবেছিলাম না খেয়েই রাত কাটাতে হবে। কিন্তু তুফানবাবুর উদ্যোগ আমাদের ভরসা দিল। উনাকে ধন্যবাদ।”


কেন গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ?

  • মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন।

  • রাজনৈতিক দল ও কর্মীদের ইমেজে ইতিবাচক প্রভাব।

  • স্টেশন এলাকায় মানবিক সহায়তার উদাহরণ।

  • সমাজে ঐক্য ও মানবিকতার বার্তা।


📌 তৃণমূলের সামাজিক দায়িত্ববোধ

এটি প্রমাণ করে, রাজনীতি কেবল ক্ষমতার লড়াই নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত রাজনীতি। এমন উদ্যোগ মানুষের আস্থা বাড়ায় এবং সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে।


FAQ:

প্রশ্ন ১: একুশের শহীদ সমাবেশ কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: প্রতিবছর ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ সমাবেশ আয়োজন করে।

প্রশ্ন ২: আদ্রা স্টেশনে কেন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল?
উত্তর: গভীর রাতে দোকান বন্ধ থাকায় ক্ষুধার্ত যাত্রীদের জন্য তৃণমূল ব্লক সভাপতি খাবারের ব্যবস্থা করেন।

প্রশ্ন ৩: এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: যাত্রীদের ক্ষুধা মেটানো ও মানবিক সহায়তা প্রদান।

প্রশ্ন ৪: কে এই উদ্যোগ নিয়েছেন?
উত্তর: তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি তুফান কুমার রায়।

প্রশ্ন ৫: এই ধরনের আয়োজন আগে কখনো হয়েছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, তুফানবাবু জানিয়েছেন তিনি প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন করেন।


❤️ মানবিকতার বার্তা

এই ছোট্ট উদ্যোগ প্রমাণ করে, রাজনৈতিক সমাবেশ শুধু বক্তৃতা ও স্লোগানেই সীমাবদ্ধ নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত রাজনীতি। এই ধরনের কার্যক্রম মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url