আহত শিক্ষককে দেখতে রঘুনাথপুরে এলেন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ার পর, আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
তাঁদের দাবী, যোগ্যতার ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে তাঁদের পুনর্বহাল করতে হবে।
এই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার কলকাতার বিকাশ ভবনের উদ্দেশ্যে একটি শান্তিপূর্ণ অভিযান করেন শিক্ষকরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আন্দোলনে লাঠিচার্জ করে।
গুরুতর আহত হন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের ছড়রা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ সোমনাথ ব্যানার্জী।
লাঠির আঘাতে তাঁর পিঠে ও পায়ে গভীর চোট লাগে, রক্তজমাট দাগ দেখা যায় সারা পিঠে। রবিবার ডঃ সোমনাথ ব্যানার্জীর রঘুনাথপুরের বাড়িতে তাঁকে দেখতে যান নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির (ABTA) পুরুলিয়া জেলা কমিটির নেতা-নেত্রীরা।
তাঁরা আহত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আহত শিক্ষক ডঃ ব্যানার্জী বলেন, “যারা দুর্নীতি করল তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর পুলিশ বাহুবলি হয়ে উঠেছে যোগ্য আন্দোলনকারীদের পেটাতে।
এটা শিক্ষক সমাজের প্রতি অপমান।” তিনি আরও জানান, আহতদের বাঁচাতে যারা এগিয়ে এসেছিলেন, তারাও পুলিশের নির্মমতার শিকার হয়েছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রঘুনাথপুর শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা আয়োজন করে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি।
সেখানে বক্তারা পুলিশের ভূমিকা এবং রাজ্য সরকারের নীরবতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির এক নেতার কথায়, “আমরা ডঃ সোমনাথ ব্যানার্জীর পাশে আছি। ওনার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই করব।”