রাওতোড়া-আদাবনা রাস্তার দুর্দশা: গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের কাহিনী।

রাওতোড়া থেকে আদাবনা পর্যন্ত ৬ কিমি রাস্তার বেহাল দশা গ্রামবাসীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি বা মোটরবাইক চলাচল অসম্ভব। 

বর্ষায় জল জমে গর্তগুলো ডোবায় পরিণত হয়। জানুন এই অঞ্চলের মানুষের দুর্দশার কথা।😢

 raotora adabna rastar durdasha

গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না: রোগীদের ডুলিতে হাসপাতালে 😷

পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার রাওতোড়া থেকে আদাবনা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্দশার শিকার। 

এই রাস্তায় বড় বড় গর্ত আর বর্ষার জল জমে ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। 🚧 এমনকি অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি বা মোটরবাইকও এই পথে চলতে পারে না। 

ফলে, গ্রামবাসীদের রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় খাটিয়ায় শুইয়ে ডুলিতে করে। 😢 এই অমানবিক পরিস্থিতি গ্রামবাসীদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

রাওতোড়া, ভাগাবাঁধ, বামুনজোড়া, গাড়া সাগমা সহ ১৫টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। 

কিন্তু এই পথ দিয়ে হাটবাজার, স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা জেলা শহর পুরুলিয়ায় যাওয়া একটি দুঃস্বপ্নের মতো। 😓 রাতের বেলা এই রাস্তায় চলাচল আরও বিপজ্জনক, বিশেষ করে বর্ষাকালে। 🌧️

বর্ষায় আরও দুর্বিষহ অবস্থা 🌧️

বর্ষাকাল এলে এই রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। গর্তগুলো জলে ভরে ডোবায় পরিণত হয়, যার ফলে পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন। 🚶‍♂️ 

সাইকেল বা মোটরবাইক চালানো তো দূরের কথা, এমনকি সাবধানে হাঁটলেও পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রা এই রাস্তার কারণে থমকে গেছে। 😞

এই এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় মাহাত এবং শলপানী মাহাত জানিয়েছেন, “বর্ষার জল রাস্তায় জমে থাকে, আর উন্নয়নের নামে শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পাই না।” 😣 

তারা বহুবার পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় নেতাদের কাছে আবেদন করেছেন, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।

উন্নয়নের দাবি: সত্যি না মিথ্যা? 🤔

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দাবি করেছেন, জঙ্গল মহল এখন হাসছে। 😊 

কিন্তু এই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তাদের জীবনে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা “উন্নয়নের জোয়ার” এর কথা বললেও, এই গ্রামগুলিতে তাদের নেতাকর্মীরাও পৌঁছাতে পারেন না

🚫 ধনঞ্জয় মাহাত বলেন, “আমরা ভোটের সময় নেতাদের জিজ্ঞাসা করব, এটাই কি আপনাদের উন্নয়নের নিদর্শন?” 😤

জাতীয় কংগ্রেস দলের বরাবাজার ব্লক সভাপতি ভগীরথ মাহাত বলেন, “বাম আমলে ৩৪ বছরে কিছুই হয়নি, আর তৃণমূল আমলে শুধু কাটমানির খেলা চলছে।” 

😡 তিনি আরও বলেন, এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরাবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি দাবি করেছেন, “বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে।” কিন্তু গ্রামবাসীদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। 😣

গ্রামবাসীদের দাবি: একটি সড়ক, একটি সমাধান 🙏

এই ১৫টি গ্রামের মানুষের একটাই দাবি—একটি সঠিক রাস্তা। 🛣️ এই রাস্তা তৈরি হলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। 

স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং বাজারে যাতায়াত সহজ হবে। গ্রামবাসীরা বলছেন, “আমরা আর প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ চাই।” 💪

সমাধানের পথ কী? 🛠️

এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:

  1. রাস্তা সংস্কার: গর্ত ভরাট করে পাকা রাস্তা তৈরি করা। 🛠️

  2. নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ: বর্ষার পর রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত তদারকি। 🔧

  3. স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা: গ্রামবাসীদের মতামত নিয়ে পরিকল্পনা ত�ijkeরি। 🗣️

  4. জরুরি সেবা: অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি পরিষেবার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা। 🚑

উপসংহার: আশার আলো কোথায়? 🌟

রাওতোড়া-আদাবনার এই ৬ কিলোমিটার রাস্তা শুধু একটি পথ নয়, এটি গ্রামবাসীদের জীবনের সঙ্গে জড়িত। 

এই রাস্তার উন্নয়ন না হলে, সরকারের উন্নয়নের সব দাবি ফাঁপা মনে হবে। 😔 গ্রামবাসীরা এখন অপেক্ষায় আছেন—কবে তাদের দুর্দশার অবসান হবে? 

সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা, যাতে এই গ্রামগুলির মানুষও উন্নয়নের স্বাদ পায়। 🌈

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পুরুলিয়ায় ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url