বলরামপুরে লাক্ষা ক্লাস্টারে দুঃসাহসিক চুরি!

💥বলরামপুরের লাক্ষা ক্লাস্টারে শুক্রবার রাতে চুরি ও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল চুরি ও ধ্বংস করা হয়। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।💔

bolrampure laksha cluster e churi o vangchur


💥 বলরামপুরে লাক্ষা ক্লাস্টারে দুঃসাহসিক চুরি! 💔 ধ্বংস করা হল মূল্যবান যন্ত্রপাতি 😱

📍 বলরামপুরের শিল্পঐতিহ্য আজ চোখের জলে 💔

🔔 স্থান: বলরামপুর, পুরুলিয়া
🕙 সময়: শুক্রবার রাত
🚨 ঘটনা: লাক্ষা ক্লাস্টারে চুরি ও ভাঙচুর


🔍 ঘটনার বিবরণ:

শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার প্রতীক ছিল বলরামপুরের লাক্ষা শিল্প। এক সময় যার গৌরব ছড়িয়েছিল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও, আজ সেই ক্লাস্টারে দুষ্কৃতিদের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব ঘিরে এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য 😡।

গত শুক্রবার গভীর রাতে, দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় বলরামপুর শেল্যাক ক্লাস্টার শিলা সমবায় সমিতির কারখানায়। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এই কারখানার ভিতরে থাকা মূল্যবান যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাবরেটরি যন্ত্রাংশ চুরি করে পালিয়ে যায় অপরাধীরা 😤।


⚙️ কি কি চুরি বা ধ্বংস করা হয়েছে?

🔧 উপাদান 💸 আনুমানিক ক্ষতি অবস্থা
বড় পাম্প (৭-৮টি) লক্ষাধিক টাকা ভাঙা ও যন্ত্রাংশ চুরি
এসি মেশিন ৫০ হাজার+ সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা
ল্যাবরেটরির যন্ত্র লক্ষাধিক টাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত
কাঁচামাল ও তামার কয়েল লক্ষাধিক টাকা গায়েব
বৈদ্যুতিক তার --- কেটে ফেলা

💣 পুরো কারখানায় ছিল ধ্বংসের ছাপ। চুরির পরে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করলেও চোরদের এখনো গ্রেফতার করা যায়নি 😔।


🗣️ কারখানার সচিব কী বললেন?

রঞ্জিত মাঝি, বলরামপুর শেল্যাক ক্লাস্টার শিল্প সমবায় সমিতির সচিব, শনিবার সকালে বলরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন:

“শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কারখানায় ঢুকে দেখি সমস্ত কিছু এলোমেলো। বৈদ্যুতিক তার কেটে ফেলা হয়েছে, পাম্প ভেঙে যন্ত্রাংশ চুরি, এসি ভাঙা – সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছে তারা।” 😢


🏭 অতীত গৌরব বনাম বর্তমান অবস্থা:

একসময় বলরামপুরের লাক্ষা শিল্প ছিল পুরুলিয়ার অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এই শিল্পের সুনাম ছিল দেশের বাইরেও। কিন্তু প্রশাসনিক উদাসীনতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা আজ ধ্বংসের মুখে 😞।

২০১১ সালে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে লাক্ষা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করলেও, পরিকল্পনার অভাব, স্বচ্ছতা না থাকা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবস্থাপনার ফলে আজ সেই কারখানা পরিণত হয়েছে এক ‘ভুতুড়ে ধ্বংসস্তূপে’ 😟।


🕵️‍♀️ পুলিশের ভূমিকা:

চুরির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলরামপুর থানার পুলিশ। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং চোরদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

🔎 “আমরা এই চুরির পেছনে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছি। কিছু তথ্য হাতে এসেছে, খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” – বলরামপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক।


😢 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ এবং দুঃখ ছড়িয়েছে। বহু মানুষ বলেন,

“এমন শিল্প যা একসময় হাজার হাজার মানুষের জীবনের রুটি-রুজির উৎস ছিল, আজ তা ধ্বংস হয়ে গেল প্রশাসনের উদাসীনতায়!” 😤


🔧 কী করণীয় এখন?

✅ অবিলম্বে কারখানার নিরাপত্তা বাড়ানো
✅ CCTV ও নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা
✅ প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ
✅ দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি
✅ লাক্ষা শিল্প পুনরুজ্জীবনের জন্য নতুন পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্দ



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url