বঙ্গ জয়ের যুদ্ধে বিজেপি, কিন্তু ‘দিদি-মোদী সখ্যতায়’ ক্ষুব্ধ মাঠের কর্মীরা।

🏹বঙ্গ দখলের লক্ষ্যে বিজেপির কৌশল নতুন করে সাজানো হয়েছে। তবে মাঠের কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন মোদী-দিদির সখ্যতা দেখে। পড়ুন বিস্তারিত রিপোর্ট আজকের পুরুলিয়ায়।😠

bongo joyer juddhe bjp kormider khobh 


🗳️ নির্বাচনী যুদ্ধ শুরু, মঞ্চে মোদী-অমিত শাহ, মাঠে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচি

২৯ মে আলিপুরদুয়ারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন, পশ্চিমবঙ্গ দখলের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। 🎯 তারই কয়েকদিন পর, ১ জুন কলকাতায় বিজেপির রণকৌশল নির্ধারক অমিত শাহ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মীদের নিয়ে এক মেগা বৈঠক করলেন।

সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন –

"জিততে হলে বুথ জিতো, বুথ শক্তিশালী হলে রাজ্যও জয় করা সম্ভব।" 🏛️

তাই আবারও ফিরে আসছে সেই পুরনো স্লোগান –
“মেরা বুথ সবসে মজবুত”

বুথভিত্তিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যে বুথ থেকে সর্বাধিক ভোট বিজেপির পক্ষে পড়বে, সেই বুথের কার্যকর্তাদের পুরস্কৃত করবে দল। 🎖️


🧠 পুরনো অভিজ্ঞতা নতুন করে কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি

২০১৮ সালে এই কর্মসূচির সুফল পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তারা পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছিল। ২০২১ সালে বিধানসভায় ৭৭টি আসন। কিন্তু ২০২৪ সালে এই ধার ভেঙে যায়।

ফলে আবারও সংগঠনে ঢেলে সাজানো হচ্ছে কৌশল।


😔 কিন্তু মাঠের কর্মীরা খুশি নন, ক্ষোভে ফুঁসছেন বহু নেতা-কর্মী

🔸 একাধিক কর্মীর অভিযোগ –

"আমরা প্রাণ দিয়ে লড়ছি, কিন্তু বারবার হতাশ হতে হচ্ছে।
মোদীজির কথার সাথে বাস্তবের মিল নেই!"

🔸 ২০১৯ সালের সভায় মোদী বলেছিলেন:

“চোর-জোচ্চরদের জেলে পাঠানো হবে।”
কিন্তু ২০২৫ সালে এসেও দেখা যাচ্ছে, সেই সব দুর্নীতিবাজরা জেল নয়, বরং বাহিরেই রয়েছেন 👎।

🔸 শিক্ষানিয়োগ কেলেঙ্কারির অনেক অভিযুক্ত জামিনে বেরিয়ে গেছেন।
🔸 আরজিকর কাণ্ডের গ্রেফতারিরাও বেশ আরামে রয়েছেন।


🧨 ‘দিদির সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত’, কিন্তু কেন মোদীর স্নেহ?

🔶 মোদীর ভাষণে বারবার শোনা যায় –

"বাংলার সরকার দুর্নীতির সরকার।"
"এই সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়।"

কিন্তু মাঠের কর্মীদের অভিযোগ –

“যাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এত ক্ষোভ, তারাই আবার বড় পদ পেয়ে যাচ্ছেন কেন?”

পুরুলিয়ার এক বিজেপি কর্মীর কথায়:

“আমরা প্রচারে গেলে মানুষ বলছে, তোমরা তো ঠিক আছো, কিন্তু তোমাদের মোদীই তো তৃণমূলের দুর্নীতিবাজদের সম্মান দিচ্ছেন।”


☎️ পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতির প্রতিক্রিয়া

শঙ্কর মাহাত জানিয়েছেন –
📞 “আমরা এই ক্ষোভ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি।
সুনীল বনশাল এসেছিলেন, তাকেও বলা হয়েছে।
এই প্রথম শীর্ষ নেতারা এত নিচু স্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
আমরা আশাবাদী, পরিবর্তন হবেই।” 🌅

তিনি আরও বলেন –

“সব চোর-জোচ্চররা জেলে ঢুকবে বিধানসভার আগেই।”


😢 আহত পরিবারগুলি এখনও বিচার পায়নি

পুরুলিয়ার এক যুবককে খুন করেছিল রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে। তার পরিবার এখনও ন্যায় বিচার পায়নি
কর্মীদের অভিযোগ –

“বিজেপি সরকারে থাকলে এমন হত না বলেই তো আমরা লড়াই করছি। কিন্তু দিল্লির নেতারা যেন দিদিকে বিশেষ স্নেহ করেন!” 😤


📌 সারাংশ:

👉 রাজ্যে বিজেপি বড় কৌশলে ফের ঘুঁটি সাজাচ্ছে।
👉 বুথ পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু, পুরস্কৃত করা হবে সফল বুথ।
👉 মাঠের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ – দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।
👉 মোদীর ভাষণ আর বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক।
👉 জেলার নেতৃত্ব কেন্দ্রকে জানিয়েছে সমস্যা।
👉 সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে দল মরিয়া।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url