চুরি হয়ে গেল জল প্রকল্পের পাম্প: আবারও জলকষ্টে নামশোল ধটাড় গ্রাম!
🛑 পুরুলিয়ার নামশোল ধটাড় গ্রামে পানীয় জল প্রকল্পের পাম্প চুরি হওয়ায় আবারও জলকষ্টে পড়েছে শতাধিক পরিবার। কীভাবে ঘটল এই চুরি? প্রশাসনের ভূমিকা কী? জেনে নিন বিস্তারিত। 💧🔧
📍 ঘটনাস্থল: বলরামপুর, পুরুলিয়া
📆 সময়: সোমবার গভীর রাত।
👥 ক্ষতিগ্রস্ত: নামশোল ধটাড় গ্রামের শতাধিক মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশু।
🧊 ঘটনা বিস্তারিতঃ
এক ভয়ঙ্কর বাস্তবের সামনে দাঁড়িয়ে আবারও জলহীন হয়ে পড়ল নামশোল ধটাড় গ্রাম।
সোমবার রাতে দুস্কৃতিরা চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে পানীয় জল প্রকল্পের পাম্প এবং সোলার বিদ্যুতের যন্ত্রাংশ।
📌 জায়গা: বড়উরমা গ্রাম পঞ্চায়েত, বলরামপুর থানার অধীনে
📌 প্রকল্পটি চালু হয়েছিল ২০২১-২২ অর্থবর্ষে
🏡 গ্রামবাসীর করুণ অভিজ্ঞতা
🌄 মঙ্গলবার সকালে মহিলারা যখন জল নিতে আসেন, তখনই দেখতে পান পুরো যন্ত্রাংশ নেই!
👩🦱 গ্রামের গৃহবধূ রেনু বাস্কে বলেন —
“আমরা গরিব মানুষ। এই একটাই ভরসা ছিল জল পাওয়ার। এখন আবার মাথায় কলসি তুলে এক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে।”
🔹 গ্রামে নেই পর্যাপ্ত নলকূপ।
🔹 যেগুলো আছে, সেখানেও অধিকাংশ সময় জল ওঠে না।
🔹 এই প্রকল্পই ছিল একমাত্র ভরসা।
⚙️ প্রকল্পের কাঠামো কী ছিল?
উপাদান | বর্ণনা |
---|---|
প্রকল্পের ধরন | গভীর নলকূপ ও ট্যাঙ্কসহ পাম্প |
বিদ্যুৎ উৎস | সোলার (সূর্যশক্তি) |
চালু হয় | ২০২১-২২ অর্থবর্ষে |
উদ্যোক্তা | বড়উরমা গ্রাম পঞ্চায়েত |
উপকারভোগী | প্রায় ১০০+ পরিবার |
🚨 চুরির পরে কী অবস্থা?
-
এখন গ্রামের মানুষের আবারও শুরু হল জলকষ্ট।
-
মহিলাদের প্রতিদিন সকালে দূরে হেঁটে জল আনতে হচ্ছে।
-
ছোট ছোট শিশুরাও পড়েছে বিপাকে।
😡 একজন গ্রামবাসী বলেন —
“এই যন্ত্রটা যেন আমাদের জীবনরেখা ছিল। সেটা চুরি হওয়া মানে যেন জীবন থেমে যাওয়া।”
👮♂️ প্রশাসনের ভূমিকা ও পদক্ষেপ
📞 খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায় গ্রামে।
👁️ এলাকায় তল্লাশি ও তদন্ত শুরু হয়েছে।
🗣️ গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুস্কৃতি রাতের অন্ধকারে এই চুরি চালিয়েছে। সোলার প্যানেল, পাম্প ও তার সংযুক্ত যন্ত্রাংশ খোলা হয়েছে সুকৌশলে।
❗ বারবার একই সমস্যা কেন?
🔁 বারবার এই ধরনের চুরি ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার ঘটনা শুধু নামশোল ধটাড় নয় — সারা জেলাতেই দেখা যায়।
এর মূল কারণ হল:
-
🛑 পর্যাপ্ত রক্ষণা-বেক্ষণ নেই
-
🔒 নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল
-
⚙️ প্রকল্প চালুর পরে পর্যবেক্ষণ নেই
-
🚫 স্থানীয় স্তরে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব
😠 সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
👵 একজন প্রবীণ মহিলা বলেন —
“নেতারা বলে উন্নয়ন হয়েছে। অথচ এই প্রকল্প একমাত্র চলছিল – সেটাও চুরি হয়ে গেল!”
🎙️ গ্রামের যুবক উত্তম মাহাতো বলেন —
“যারা এই চুরি করেছে, তারা আমাদের জল কেড়ে নিয়েছে। এটা শুধুই চুরি নয়, এটা আমাদের জীবনের উপর আঘাত।”
💡 কী করা উচিত?
🔐 এখনই চাই —
-
✅ CCTV বা পাহারা ব্যবস্থার প্রস্তাব
-
✅ প্রতি মাসে প্রকল্প পরিদর্শন
-
✅ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় নিয়োগ
-
✅ পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তৎপরতা
-
✅ জরুরি ভিত্তিতে নতুন পাম্প বসানো
🎯 উপসংহার: জল শুধু এক ধারা নয়, এটা জীবন!
💧 পানীয় জল ছাড়া জীবন অসম্ভব। গ্রামীণ জল প্রকল্পগুলি শুধুমাত্র একটা যন্ত্র প্রকল্প নয়,
সেটা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের নিত্য দিনের অস্তিত্ব।
⚠️ তাই এই ধরনের চুরির ঘটনা শুধু ফৌজদারি অপরাধ নয়, এটা মানবিক অপরাধ।
👉 প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
👉 গ্রামের মানুষকেও করতে হবে সংগঠিত।
💬 “পানীয় জল আমাদের অধিকার — চুরি হলে সেটা ফিরিয়ে আনার দায় প্রশাসনের।” 🛠️