সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল পাঞ্চেৎ জলাধার এলাকা!
🚫পাঞ্চেৎ জলাধারে সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বাইক মিছিল করলেন মৎস্যজীবী ও আদিবাসী সংগঠনগুলি। কেন তারা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন? পড়ুন বিস্তারিত প্রতিবেদন।✊☀️
📍 অবস্থান: পাঞ্চেৎ জলাধার, বাথানবাড়ী-মহেশ নদী অঞ্চল, পুরুলিয়া
📆 তারিখ: সোমবার
👥 অংশগ্রহণকারীরা: মৎস্যজীবী, বাস্তুহারা সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন
🛵 বাইক মিছিল থেকে শুরু প্রতিবাদ — প্রকল্প বাতিলের ডাক
সোমবার পাঞ্চেৎ জলাধারে সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
বাথানবাড়ী থেকে শুরু হওয়া বাইক মিছিল পেরিয়ে যায় মহেশ নদী ও শেষ হয় ঝাড়খন্ডের জিরো পয়েন্টে।
📢 উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী নেতা রাজেন টুডু, বিপ্লব মারানডি-সহ একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধি।
তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় বলেন —
“সোলার প্রকল্প গড়ে উঠলে মাছ ধরার পথ বন্ধ হবে, বাঁচার উপায় বন্ধ হবে!”
🎣 কী নিয়ে আপত্তি?
সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জলাধারের উপর বসানো হচ্ছে, যা অঞ্চলটির মূল পেশা মাছ ধরা-কে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
🧾 মূল আপত্তির কারণ:
কারণ | বিশদ ব্যাখ্যা |
---|---|
🎣 মাছ ধরা বন্ধ | সোলার প্যানেল বসানো হলে জলাধারে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে |
🚤 যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন | মহেশ নদীতে সেতু নেই, নৌকাই একমাত্র ভরসা |
🛤️ বিকল্প পথ অনুপযুক্ত | নৌকা বন্ধ হলে ৩৫-৪০ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হবে |
🤝 প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ | আগের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ মেলেনি |
🏫 হাসপাতাল ও স্কুলে সমস্যা | নৌকা বন্ধ হলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ ব্যাহত হবে |
🧑🌾 কারা বলছেন কী?
🎙️ রাজেন টুডু বলেন —
“পাঞ্চেৎ জলাধারে মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো জীবিকা নেই। জল মুখ ঢেকে দিলে আমরা খাব কী?”
🎙️ বিপ্লব মারানডি বলেন —
“ডিভিসি প্রথমে ক্ষতিপূরণ, চাকরি, রাস্তা দেওয়ার কথা বলেছিল। কিছুই দেয়নি। এখন আবার নতুন বিপদ নিয়ে এসেছে।”
🔍 বাস্তব পরিস্থিতি: এক নজরে
দিক | তথ্য |
---|---|
প্রকল্প | পাঞ্চেৎ জলাধারে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প |
প্রতিবাদকারীর সংখ্যা | প্রায় ২০০-২৫০ জন (প্রাথমিক অনুমান) |
প্রধান দাবিগুলি | প্রকল্প বাতিল, সেতু নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ |
আন্দোলনের ধরন | বাইক মিছিল, সভা, স্লোগান, স্মারকলিপি |
সংগঠন যারা জড়িত | বাস্তুহারা সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী সমাজ, মৎস্যজীবী ইউনিয়ন |
🛠️ দাবি কী?
-
❌ সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে
-
🌉 বাথানবাড়ী থেকে মহেশ নদী পর্যন্ত সেতু নির্মাণ
-
💰 পূর্ববর্তী প্রকল্পের বকেয়া ক্ষতিপূরণ ও চাকরি
-
🧾 পঞ্চায়েত ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য প্রকাশ
📣 স্থানীয় মানুষের বক্তব্য:
👨🔧 সোমরু হাঁসদা (মৎস্যজীবী) বলেন —
“মাসে চার হাজার টাকা মাছ বেচে চালাই। এখন সোলার প্রকল্প হলে কিছুই পাব না। ক্ষতিপূরণও দেবে না।”
👩🦱 আদিবাসী নারী চম্পা হাঁসদা বলেন —
“ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে নৌকা ছাড়া উপায় নেই। ওটা বন্ধ হলে পড়াশোনা বন্ধ হবে।”
🏢 ডিভিসি কর্তৃপক্ষ কী বলছে?
এখনও পর্যন্ত ডিভিসি (Damodar Valley Corporation)-এর তরফে সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
তবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন — তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং এক মাস সময় দিয়েছেন সিদ্ধান্ত বদলের।
🛑 “ডিভিসি যদি দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে, তবে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।” — হুঁশিয়ারি রাজেন টুডুর।
🔎 এই প্রতিবাদের তাৎপর্য কী?
-
✅ এটি কেবল একটি পরিবেশগত বিষয় নয় — এটি জীবিকা ও অধিকার রক্ষার আন্দোলন।
-
✅ গ্রামীণ অঞ্চলে উন্নয়নের নামে যদি মানুষ বেকার হয়ে যায়, সেটি উন্নয়ন নয় — উচ্ছেদ।
-
✅ প্রকল্পের আগে জনসাধারণের মতামত নেওয়া জরুরি।