টানা বর্ষণে ধ্বসে পড়ল মাটির বাড়ী অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা যুবকের।
📝টানা বৃষ্টিতে ধ্বসে পড়ল মাটির বাড়ি, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন যুবক মৃত্যুঞ্জয় মুদি। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ায় গৃহহীন অবস্থায় বিয়ের আগেই জীবনে নেমে এলো গভীর সংকট। বান্দোয়ানের এই ঘটনা জানুন বিস্তারিত।👇
🏚️ টানা বর্ষণে ধ্বসে পড়ল মাটির বাড়ি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যুবক 💔🌧️
🌧️ ঘটনা পর্যালোচনা:
সোমবার সকালের অঝোর বৃষ্টিতে বান্দোয়ান থানার মুদিডি গ্রামে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। টানা বর্ষণে ভেঙ্গে পড়ল এক পুরনো মাটির বাড়ি। ভাগ্য সহায় ছিল বলেই প্রাণে রক্ষা পেলেন ওই বাড়িতে থাকা মৃত্যুঞ্জয় মুদি নামক এক যুবক।
🏃♂️ অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যুবক 😰
রবিবার রাতের খাবার শেষে ঘুমোতে গিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়।
সোমবার ভোরবেলা আচমকাই "হুড়মুড়" শব্দে ঘরের চালা সহ ভেঙ্গে পড়ে মাটির বাড়ি।
তৎক্ষণাৎ ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি — আর এভাবেই ঘটে যায় এক অলৌকিক প্রাণরক্ষা।
🏚️ মাটির বাড়ির করুণ দশা 💔
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে:
-
মৃত্যুঞ্জয় চার ভাইয়ের একজন।
-
আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন কেবল একজন ভাই।
-
মৃত্যুঞ্জয় একাই মাটির ঘরটিতে বসবাস করতেন।
-
আর্থিক সমস্যার কারণে বাড়ি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
এই বর্ষার মধ্যে বাড়িটি একেবারে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ে।
আর এর মধ্যেই বিয়ের আগ মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
🏠 মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে গৃহহীন 😢
চলতি আষাঢ় মাসেই বিয়ে ঠিক ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের। কিন্তু মাটির বাড়ি ধ্বসে যাওয়ায় সম্পূর্ণ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তিনি।
এই মুহূর্তে কোথায় থাকবেন, কীভাবে বিয়ে হবে — কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
📢 অভিযোগের আঙুল প্রশাসনের দিকে ☹️
মৃত্যুঞ্জয় মুদির অভিযোগ:
“পঞ্চায়েত ও ব্লকে বহুবার ঘরের জন্য আবেদন করেছি।
কিন্তু ফল মেলেনি। অথচ গ্রামের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দুবার করে আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন।
আমার যদি একটা সরকারি ঘর থাকতো, তাহলে এই অবস্থায় পড়তে হত না।”
🗣️ কী বলছেন পঞ্চায়েত ও প্রশাসন? 🏢
🔷 বান্দোয়ান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ভারতী সিং জানিয়েছেন —
“লাগাতার বর্ষণে মুদির ঘরটি ধ্বসে পড়েছে। কীভাবে পরিবারটিকে সাহায্য করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।”
🔷 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিঙ্কু মাহাত বলেন —
“এই বর্ষায় অনেক মাটির বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপাল ও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।”
🤔 কী বার্তা দিচ্ছে এই ঘটনা?
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল:
-
আবাসন যোজনার বন্টন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রয়োজন
-
প্রকৃত গরিব মানুষ অনেক সময় বঞ্চিত হন সরকারি সুবিধা থেকে
-
বর্ষার সময় মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ
🧭 সমাধানের পথ কী?
✅ সরকারের পক্ষ থেকে:
-
প্রকৃত প্রাপক নির্ধারণে সততা ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া জোরদার করা
-
তড়িৎ আবাসন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি
✅ পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের:
-
এমন অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো
-
আপৎকালীন আশ্রয়ের ব্যবস্থা
✅ সমাজের পক্ষ থেকেও:
-
এলাকায় সমবায় ভিত্তিক সহায়তা গঠন
-
বেসরকারি উদ্যোগে সহযোগিতা
🔚 উপসংহার
বান্দোয়ানের এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি গ্রামের নয় — এটি গোটা বাংলার বহু পিছিয়ে পড়া পরিবারের বাস্তবতা।
সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা না থাকলে, এরকম বহু মৃত্যুঞ্জয়র জীবনেই নেমে আসবে অন্ধকার।
এই দুর্যোগের মুহূর্তে প্রয়োজন সহানুভূতি, দ্রুত পদক্ষেপ ও সঠিক বণ্টন নীতি।
🟢 আপনার মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না!
🗨️ এই ঘটনার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? প্রশাসন কি আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারত? নিচে কমেন্ট করুন।
আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন 👉 আজকের পুরুলিয়া
📢 “আপনার জেলার খবর, আপনার ভাষায়!”