চন্দন কাঠ পাচারের অভিযোগে বাঘমুন্ডিতে গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী।
চন্দন কাঠ পাচারের অভিযোগে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দা সহ পুরুলিয়ার এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার বিকেলে বাঘমুন্ডির দুয়ারসিনি মোড় সংলগ্ন মাঠা ফরেস্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে খবর মেলে, এক ব্যক্তি একটি ব্যাগে চন্দন কাঠ নিয়ে দুয়ারসিনি মোড় হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছে।
তৎক্ষণাৎ পুলিশ মাঠা ফরেস্টের কাছে নজরদারি শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হলে পুলিশ তাকে থামিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করে।
তল্লাশিতে ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি ছোট ছোট চন্দন কাঠের টুকরো। বৈধ নথিপত্র চাওয়া হলে ওই ব্যক্তি তা দেখাতে ব্যর্থ হয়।
ধৃত ব্যক্তির নাম সুগন মাহাত (বাড়ি—চৌফাদ গ্রাম, হরলা থানা, বোকারো, ঝাড়খণ্ড)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সে এই কাঠগুলি পেয়েছে মাঠা গ্রামের বাসিন্দা পুনু সিং মুড়ার কাছ থেকে।
এরপর পুনু সিং মুড়াকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। দুজনের কাছ থেকে কাঠ সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র না পাওয়ায় এবং কাঠের উৎস সম্পর্কে যথাযথ জবাব না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চন্দন কাঠ পাচার আইনে মামলা রুজু করা হয়।
শনিবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বাঘমুন্ডি থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি চন্দন গাছ চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ধার হওয়া কাঠগুলির সঙ্গে সেই চুরি হওয়া গাছগুলির কোনও সংযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা নিয়েও অনুসন্ধান চলছে। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রকাশ পেল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চন্দন কাঠ পাচারের সক্রিয়তা।
বনসম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের সক্রিয় হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে স্থানীয়দের তরফ থেকেও।