কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনার পরাক্রম, পুরুলিয়ার ব্লকে ব্লকে দেশপ্রেমে মুখর জাতীয়তা মিছিল।

কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের উপর পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের নৃশংস হামলার জেরে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ ও উদ্বেগের পরিবেশ। 

এই ঘটনার কড়া জবাব দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, উগ্রবাদীদের ও তাদের মদতদাতাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। 

purulia block e deshpremik jatiyotabadi michil

সেই হুঁশিয়ারির প্রতিফলন ঘটে ৭, ৮ ও ৯ মে—এই তিনদিনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুঃসাহসিক অভিযানে, যেখানে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয় এবং পাকিস্তানের ১১টি এয়ার বেসে প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এই সেনা অভিযানের গৌরবময় পরিণতির স্মরণে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দেশপ্রেমিক কার্যক্রম। 

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে "তিরঙ্গা যাত্রা", আর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সেনা বাহিনীর বীরত্বকে সম্মান জানাতে এবং শহীদ সেনাদের স্মরণে আয়োজন করেছে দু'দিনব্যাপী (১৭ ও ১৮ মে) জাতীয়তাবাদী মিছিল।

পুরুলিয়া শহর বাদে জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়েছে এই মিছিল। স্থানীয় মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশপ্রেমের আবহে মুখর হয়ে উঠেছে গ্রামীণ পুরুলিয়া।

তৃণমূল দলের নবনির্বাচিত জেলা সভাপতি রাজীব লোচন সোরেন জানান, “আমার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্তির কারণে শহরে কিছুটা দেরি হলেও খুব শীঘ্রই পুরুলিয়া শহরেও বড় মাপের একটি জাতীয়তাবাদী মিছিলের আয়োজন করা হবে।”

অন্যদিকে, সোমবার বিজেপির পক্ষ থেকেও জেলার প্রতিটি ব্লক ও শহরে তিরঙ্গা যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগেই রবিবার সব ব্লকে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রস্তুতি সভা।

দেশপ্রেম এবং সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এই উদ্যোগ জেলাবাসীর মধ্যে গভীর দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তুলেছে। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে এই মুহূর্তে জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে একটি সাধারণ সুর—“ভারত মাতা কি জয়”।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url