ভবন ভেঙে পড়ার আতঙ্কে বানজোড়া পঞ্চায়েত কর্মীরা।
📍পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার ব্লকের বাস্তব চিত্র
👩💼 রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন – “জঙ্গলমহল হাঁসছে”, তখন জঙ্গলমহলের বানজোড়া পঞ্চায়েত ভবনে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চিত্র। উন্নয়নের বুলি কানে বাজলেও, বাস্তবে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি বহু সরকারি প্রতিষ্ঠানে।
🧱 জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্কের পরিবেশ
পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার ব্লকের বানজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবনটি আজ এতটাই জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে যে, প্রতিদিন অফিস করতে আসা কর্মীরা প্রাণভয়ে সময় কাটাচ্ছেন।
🧍♂️🧍♀️ প্লাস্টার খসে পড়ছে, ছাদ থেকে চাঙ্গড় ভেঙে পড়ছে, বর্ষায় ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে – এতে পরিষেবা তো দুরের কথা, জীবন রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
🗣️ পঞ্চায়েত প্রধানের মুখে উদ্বেগের কথা
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা মাহাতো 🙍♀️ বলছেন —
“এই ভবনের করুণ অবস্থা বহুবার জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এখন তারা বলেছে নতুন জায়গা দেখে নিতে। আমরা জায়গাও দেখেছি, কিন্তু রাতারাতি ভবন তো তৈরি হয় না। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?”
এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রশাসনিক উদাসীনতা ও দীর্ঘসূত্রিতার বাস্তব রূপ।
📊 মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা বনাম বাস্তব চিত্র
📢 রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,
-
রাজ্যে ১০০% উন্নয়ন হয়েছে
-
দারিদ্র্য কমেছে ৫৮% থেকে ৯% এ
-
গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে উন্নয়নের পুস্তিকা
কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে — পঞ্চায়েত ভবনে কাজ করা যায় না, কর্মীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
🧍♀️ কর্মীদের অনুভূতি: “ভয়ে অফিস করি”
একজন কর্মচারীর মুখে শোনা গেল,
“প্রতিদিন মনে হয়, আজ না ছাদ পড়ে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার যদি সত্যিই উন্নয়ন করেছে, তাহলে আমাদের অফিসটা কেন এত খারাপ অবস্থায় থাকবে?”
😞 এই অভিব্যক্তি বোঝায়, উন্নয়নের নাম কাগজে থাকলেও মাটিতে এখনও অনেক কাজ বাকি।
🧾 জনগণের পরিষেবা ব্যাহত – ক্ষোভ বাড়ছে জনমনে
জনগণ নিয়মিত পরিষেবা পেতে আসেন পঞ্চায়েত অফিসে। কিন্তু কর্মীদের প্রাণের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে থাকায় পরিষেবার মান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
👨👩👧👦 সাধারণ মানুষ বলছেন,
“আমাদের ছোট ছোট দরকারে পঞ্চায়েতে আসতে হয়। কিন্তু দেখছি, পঞ্চায়েত ভবনটা একেবারে ভাঙা। ভয় লাগে ভিতরে ঢুকতে।”
🏗️ সমাধানের অপেক্ষায়
পঞ্চায়েত ভবনের দুরবস্থা একদিনে হয়নি। দীর্ঘ সময়ের অবহেলায় এটি ঘটেছে।
বর্তমানে প্রশাসন জায়গা দেখার কথা বললেও, ভবনের কাজ শুরু হতে এখনও সময় লাগবে।
এরমধ্যেই যদি কোনও অঘটন ঘটে, তাহলে সেটির দায় কে নেবে – এই প্রশ্ন এখন বড়।