মদের বিরুদ্ধে চুপ প্রশাসন, লাঠি তুলে আইন হাতে নিলেন পুরুলিয়ার মহিলারা!

📰পুরুলিয়ার লালবাজারে মদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন মহিলারা। বার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা, প্রশাসনের চুপ থাকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।🔥

mod er biruddhe lathi hate purulia mahilar andolon


🌾 দীর্ঘদিনের সহ্যক্ষমতা শেষ!

পুরুলিয়ার লালবাজারে মদ ও মাতালদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রামের নারীরা। বহুদিন ধরেই চলছিল প্রতিবাদ, প্রতিবাদ থেকে মিছিল, মিছিল থেকে হুমকি — কিন্তু প্রশাসনের নিরব ভূমিকা দেখে এবার মহিলারাই হাতে তুলে নিয়েছেন আইন! 😡🔥


🚫 প্রতিবাদ থেকে প্রতিরোধ — লাঠি হাতে মাঠে নামলেন দুই শতাধিক মহিলা

লালবাজারের জলেশ্বর ও চয়নপুর রাস্তার ধারে থাকা একটি রেস্টুরেন্ট কাম বার ছিল স্থানীয়দের দুঃস্বপ্নের কেন্দ্র। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় ২০০ জন মহিলা একজোট হয়ে মিছিল করে সেই বার-এ আক্রমণ চালান। মদের বোতল ভাঙচুর করে তাঁরা ক্ষান্ত হননি, পুড়িয়ে দেন গোটা রেস্টুরেন্টটিকেই। 🔥🍶


🚒 আগুন নেভাতে গেলে দমকলকর্মীদের পথ আটকে দেন মহিলারা

খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে দমকলের গাড়ি। কিন্তু ক্ষুব্ধ মহিলারা তাঁদেরও আটকে দেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

পুলিশের উপস্থিতি জানার পর আশপাশের গ্রাম থেকেও মহিলারা ভিড় জমান — রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আন্দোলন। 🚨👩‍🌾


🧨 শুধু মদ নয়, নষ্ট হয়েছে সমাজের শালীনতা

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই বার খোলার পর থেকেই গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হতে শুরু করে।

  • মাঠে, রাস্তায়, জমিতে পড়ে থাকত মদের বোতল

  • সকাল থেকে সন্ধ্যা — মাতালদের দৌরাত্ম্য

  • ছেলেমেয়েদের স্কুল যাওয়াও হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ

  • মেয়েদের উপর কুনজর, ইভটিজিং ও অশালীন আচরণ বাড়ে

  • মদ্যপ অবস্থায় বোতল ভেঙে রাস্তায় ছড়ানো হতো কাঁচ

👧👩 মেয়েরা আর বাইরে বের হতে পারছিলেন না নির্ভয়ে। কারও শাড়িতে টান, কারও দিকে কু-নজর, কেউবা অশ্লীল কথা বলছে — এই পরিস্থিতিতে চুপ থাকতে পারেননি নারীরা।


🧾 অভিযোগ তো দিচ্ছি, কিন্তু শোনা কে রাখে?

গ্রামবাসীরা বলেন, পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস, থানা — কোথাও বার বার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ফলে বাধ্য হয়েই এই চূড়ান্ত পথে হাঁটতে হয়েছে।


💬 গ্রামবাসীদের বক্তব্য

👉 চরণ দাস, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রেস্টুরেন্ট মালিক, জানিয়েছেন —
"স্ত্রীর নামে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। হামলায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকার। মামলা হয়েছে থানায়, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।"

👉 একজন মহিলা বলেন,
"আমাদের ঘরের মেয়েরা বাইরে বের হতে পারছে না। প্রশাসন শুধু ঘুমোচ্ছে। তাই আমরাই মাঠে নেমেছি।"

👉 অন্য একজন বিক্ষোভকারী বলেন,
"ঝাড়খণ্ড থেকে আসা দুস্কৃতিরা এখানে গুলি পর্যন্ত চালিয়েছে, এখন আর সহ্য করার মত কিছু নেই।"


⚖️ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ❓

যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের দায়িত্ব, সেখানে বাড়ির মা-বোনেরা যদি রাস্তায় নামতে বাধ্য হন, তবে তা শুধু আইন নয় — সমাজ ব্যবস্থারও চূড়ান্ত ব্যর্থতা। 

প্রশাসনের চুপ থাকা, নিরব দর্শক হয়ে থাকা এই পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।


📢 নারীর শক্তির জয় — কিন্তু সমাজ কী বলছে?

একদিক থেকে দেখলে এটি নারীশক্তির একটি স্পষ্ট ও সরব রূপ। অন্যদিকে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনওই সমাধান নয়। 

কিন্তু যখন প্রশাসন নিশ্চুপ থাকে, তখন জনগণই নিজের নিরাপত্তা নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়।

🤔 প্রশ্ন উঠছে — এই আন্দোলনের পরে কি প্রশাসন জাগবে? মদের বিরুদ্ধে কি সত্যিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে?



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url