ঝালদা ও পুরুলিয়া ১নং ব্লকের একাধিক কংগ্রেস নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান।
📌ঝালদা ও পুরুলিয়া ১নং ব্লকের কংগ্রেস ত্যাগ করে ৩৫ জন নেতা ও কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। দলবদলের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন অভিরঞ্জন কুইরী ও সন্দীপ মাহাত। পড়ুন সম্পূর্ণ খবর।📰🎯
🔴 কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান — নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ 🌐
রাজনৈতিক ময়দানে আবারও বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকল পুরুলিয়া জেলা। ঝালদা ও পুরুলিয়া ১নং ব্লকের একাধিক কংগ্রেস নেতা ও কর্মী এবার দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এই ঘটনা পুরুলিয়ার রাজনীতিতে এক নতুন মোড় এনে দিল।
🏛️ নেতৃত্বে ছিলেন অভিরঞ্জন কুইরী ও সন্দীপ মাহাত
এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের নেতৃত্বে ছিলেন ঝালদার কংগ্রেস নেতা অভিরঞ্জন কুইরী এবং বলরামপুর বিধানসভার অন্তর্গত পুরুলিয়া ১নং ব্লকের সোনাইজুড়ি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি সন্দীপ মাহাত। তাঁদের নেতৃত্বে প্রায় ৩৫ জন কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থক বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন।
🏢 বিজেপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল দলবদল অনুষ্ঠান 🎉
শনিবার, পুরুলিয়া শহরের বিজেপি জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই দলবদল সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে নবাগতদের হাতে বিজেপি দলের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি শঙ্কর মাহাত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা সহ বিজেপির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব।
🗣️ সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারীদের বক্তব্য 🙋
নতুনভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা বলেন:
"এই রাজ্যে যে ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে, তা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র বিজেপি। আমরা বিজেপিকে শক্তিশালী করতেই কংগ্রেস দল ছেড়েছি।"
তাঁদের মতে, কংগ্রেস আজ আর লড়াই করার মত সংগঠন নয়। পশ্চিমবঙ্গকে পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দরকার শক্তিশালী একটি বিরোধী শক্তি, আর সেই জায়গা থেকেই বিজেপিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
🧭 পূর্বের পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ 📊
পুরুলিয়া জেলার রাজনীতি বরাবরই বাম-কংগ্রেস ঘরানার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল। তবে গত এক দশকে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। বর্তমানে বিজেপি এখানে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতৃত্বের অভাব এবং স্থানীয় স্তরে কার্যকলাপ না থাকার ফলে বহু পুরোনো কর্মী দলে গুরুত্ব না পেয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন।
📌 দলবদলের পর অনুষ্ঠিত হল বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচি 🛠️
দলবদলের পরেই নবাগত কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশিক্ষণমূলক “বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচি” অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন নির্বাচনী কৌশল, বুথ ম্যানেজমেন্ট, স্থানীয় জনসংযোগ কৌশল ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিজেপির দাবি, পুরুলিয়ার প্রতিটি বুথকে সংগঠনের দিক থেকে শক্তিশালী করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।
🤔 এই দলবদলের প্রভাব কী হতে পারে?
এই ধরনের রাজনৈতিক দলবদল, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে, অনেক সময় “গেম চেঞ্জার” হতে পারে। ঝালদা ও পুরুলিয়া ১নং ব্লক এলাকায় কংগ্রেসের সংগঠন ছিল শক্তিশালী। সেই সংগঠনের একাংশ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি সেখানে কিছুটা সংগঠনিক সুবিধা পাবে।
অন্যদিকে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতাকর্মী হারানোর ফলে সেখানে দলের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যেতে পারে।
📣 শেষ কথা 🔚
পুরুলিয়ায় রাজনৈতিক পালাবদল এখন প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝালদা ও পুরুলিয়া ১নং ব্লকের এই দলবদল বিজেপির জন্য বড় সাফল্য হিসেবেই ধরা যেতে পারে। রাজনীতির এই চলমান পালাবদলে আগামী দিনে আরও চমক থাকতেই পারে।