কেলাই জঙ্গলে পুলিশের হানা: ডাকাতির ছক কষতে এসে ধৃত ৩, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র!
📰 রঘুনাথপুরের কেলাই জঙ্গলে ডাকাতির পরিকল্পনা! পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল ৩ জন, উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র। 🔫
🚨 গোপন সূত্রে পুলিশের হানা, কেলাই জঙ্গলে ধরা পড়ল তিন ডাকাত!
রঘুনাথপুর থানার কেলাই জঙ্গল 🌲 বৃহস্পতিবার রাত্রে যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। পুলিশের গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়সড় অভিযানে ধরা পড়ল ডাকাত দলের তিন সদস্য। সঙ্গে উদ্ধার হল দেশি বন্দুক 🔫, কার্তুজ ও ধারালো অস্ত্র! 😱
🕛 মাঝরাতে অন্ধকার জঙ্গলে চুপিসারে অভিযান
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা 🕛 নাগাদ রঘুনাথপুর থানার পুলিশ খবর পায়, কেলাই জঙ্গলে একটি বড় ডাকাত দল ডাকাতির ছক কষছে।
তৎক্ষণাৎ মোতায়েন হয় পুলিশের একটি দল। এলাকা ঘিরে ফেলা হয় সুনির্দিষ্ট কৌশলে। 🌌
👣 পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালায় ১০ জন, ধরা পড়ে ৩
জঙ্গলে পৌঁছেই পুলিশের দল দেখতে পায় ১০-১২ জনের একটি সন্দেহজনক দল।
পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা দৌড়ে পালাতে শুরু করে।
⚠️ কিন্তু তিনজনকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
🧾 ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র
🔸 ১টি দেশি একনলা বন্দুক
🔸 কার্তুজ
🔸 ধারালো অস্ত্র 🗡️
এইসব সরঞ্জাম দেখে পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয় যে, বড়সড় কোনও অপরাধমূলক ঘটনার পরিকল্পনা চলছিল।
🧑🤝🧑 ধৃতদের পরিচয়
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম ও বাড়ি হল—
👤 স্বপন মুর্মু — পাড়া থানার মহুদা গ্রাম
👤 তাপস বাউরী — করগালি, রঘুনাথপুর
👤 মনোজ বাউরী — করগালি, রঘুনাথপুর
তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করে, তারা পথ ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল।
📜 পুলিশের বক্তব্য ও আইনি পদক্ষেপ
রঘুনাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান –
“আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালাই। অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি আমরা জানতে পেরেছি তারা একটি বড় ডাকাতির ছক কষছিল।”
পুলিশ ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে।
⚖️ আদালতে পেশ, জেল হেফাজতের নির্দেশ
শুক্রবার ধৃতদের রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর ফলে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা ছড়ালেও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। 😌
🕵️♀️ পলাতকদের খোঁজে অভিযান চলছে
পুলিশ জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া অন্তত ৯ থেকে ১০ জন সদস্য এখনও ফেরার।
তাদের ধরতে জোর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চলছে।
📣 এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
কেলাই জঙ্গলের আশপাশের গ্রামবাসীরা জানান—
“প্রতিদিন রাতে আমরা আতঙ্কে থাকি। জঙ্গলের পাশে বাড়ি হওয়ায় ডাকাতির ভয় সবসময় থাকে। পুলিশের এই পদক্ষেপে আমরা কিছুটা নিরাপদ বোধ করছি।” 🙌
📌 উপসংহার: প্রশাসনের সক্রিয়তায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল
এই ঘটনার ফলে আবার প্রমাণ হল— গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ কতটা কার্যকরী হতে পারে।
ডাকাতি বা অপরাধমূলক পরিকল্পনা রুখতে পুলিশের এমন তৎপরতা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে বলেই আশা করছে সাধারণ মানুষ।