পুরুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর খণ্ডযুদ্ধ: ইট-পাথর, ভাঙচুর, জেল।

🔍বলরামপুরে রায়তি জমিতে পুলিশ ছাউনি তৈরির বিরোধে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে আহত ৩ পুলিশ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর। ৭ জন গ্রেপ্তার, পরিস্থিতি থমথমে।


purulia bolrampur grambashi vs police khondojuddho

📌 মূল প্রতিবেদন:

📍 ঘটনার স্থান: ডাভা, বলরামপুর-বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়ক, পুরুলিয়া
📆 দিন: শনিবার দুপুর


⚠️ পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বলরামপুর

বলরামপুরের ডাভা গ্রামের পাশে পুলিশ ছাউনি নির্মাণকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা। 

ঘটনাটি ঘটে বলরামপুর-বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কের গোপলাডি সংলগ্ন এলাকায়।

📌 পুলিশ রায়তি জমিতে জোর করে ছাউনি নির্মাণ করছে — এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।


🏗️ কেন এই উত্তেজনার সূত্রপাত?

শাঁখা নদীর পাড় ঘেঁষে বলরামপুর থানার অধীনস্থ একটি নতুন আউটপোস্ট (ছাউনি) নির্মাণ করছিল পুলিশ।

 কয়েকদিন ধরেই সেখানে টিনের ছাউনি তৈরি ও অন্যান্য নির্মাণ কাজ চলছিল।
এই স্থানটি স্থানীয়দের মতে তাদের রায়তি জমি

⚠️ পুলিশের বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা।


🧱 বাকবিতণ্ডা থেকে খণ্ডযুদ্ধ

শনিবার পুলিশ যখন ছাউনির কাজ করছিল, তখন গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দিতে এগিয়ে আসেন
প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে চলে তর্কাতর্কি। 

এরপর পুলিশ যখন কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যেতে চায়, তখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

🔹 ছোড়া হয় ইট, পাথর
🔹 আহত হন ৩ পুলিশ কর্মী
🔹 ভাঙে পুলিশের গাড়ির কাঁচ


👮 গ্রেপ্তার ৭, জেলে প্রেরণ

এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৭ জনকে — যাদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন মহিলা।
🔸 ধৃতরা হলেন:

  • কানাইলাল মাঝি

  • কালিরাম সোরেন

  • মনোরঞ্জন মাঝি

  • পুটি মাঝি

  • চুনকি মাঝি

  • রাতুলী মাঝি

  • অমলা মাঝি

➡️ রবিবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলকে জেল হেফাজতে পাঠান


🏞️ এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ

ডাভা ও গোপলাড়ি গ্রামের মাঝামাঝি পুলিশের এই আউটপোস্ট ঘিরে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক

🔸 পুলিশের দাবি, এলাকায় শান্তি রক্ষার্থেই এই আউটপোস্ট তৈরি করা হচ্ছে।
🔸 তবে গ্রামবাসীরা বলছেন, জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই এই নির্মাণ বেআইনি।

📣 স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা প্রবল।


💬 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

🗣️ এক গ্রামবাসী বলেন:
"এটা আমাদের রায়তি জমি। পুলিশ কোনো অনুমতি ছাড়াই এখানে ছাউনি করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপরেই চড়াও হয়েছে পুলিশ।"

🗣️ অন্য এক ব্যক্তি জানান:
"তিনজন পুলিশ আহত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের অনেক মহিলার গায়েও হাত তুলেছে পুলিশ। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।"


🛑 প্রশাসনের অবস্থান

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে —
"আউটপোস্ট নির্মাণের আগে উপযুক্ত অনুমতি নেওয়া হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।"

📌 তবে গ্রামবাসীদের দাবি ও পুলিশের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক।


📢 শেষ কথা:

পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষে যেমন আহত ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে, তেমনই সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক প্রশ্নও।
👉 পুলিশ কি আদৌ রায়তি জমিতে ছাউনি তৈরি করছে?
👉 গ্রামবাসীদের অভিযোগ কতটা সত্য?
👉 এই উত্তেজনার মীমাংসা কীভাবে হবে?

❗ এই ঘটনার তদন্ত ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনের দায়িত্ব এখন সবচেয়ে বেশি।


🔔 আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন – আজকের পুরুলিয়া ব্লগে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url