বলরামপুরে পড়ে নষ্ট মেশিন, অপচয় হচ্ছে কোটি টাকার প্রকল্প।
📌সরকারি বরাদ্দ কোটি টাকা, তবুও বলরামপুরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প শুরুই হয়নি। ই-কার্ট পড়ে গ্যারেজে, মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খোলা মাঠে। পড়ুন সম্পূর্ণ রিপোর্ট।🛠️
📰 মূল প্রতিবেদন: বলরামপুরে পড়ে নষ্ট মেশিন, অপচয় হচ্ছে কোটি টাকার প্রকল্প — নির্মল বাংলা রইল অধরাই!
🧹 নির্মল বাংলার স্বপ্ন অধরা বলরামপুরে 🌪️
রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্য—প্রতিটি গ্রাম হোক নির্মল ও পরিচ্ছন্ন। সেই লক্ষ্যেই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে পঞ্চায়েতগুলিকে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রকল্পের চিত্র অনেকটাই হতাশাজনক, বিশেষত পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর ব্লকে।
💰 কোটি টাকার প্রকল্প, অথচ নেই বাস্তবায়ন
সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ই-কার্ট, আবর্জনা সংগ্রহের যন্ত্রপাতি, শুকানোর মেশিন ইত্যাদি আনা হলেও সেগুলোর কোনো বাস্তব ব্যবহার শুরু হয়নি। গ্যারেজে পড়ে রয়েছে ই-কার্ট, খোলা মাঠে পড়ে নষ্ট হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে চোখের সামনে।
📉 প্রশাসনের তরফে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। এলাকার সাধারণ মানুষ, সব্জী ব্যবসায়ী এবং কৃষকরা বলছেন—"এত টাকা খরচ করে মেশিন বসানো হয়েছে অথচ কোনো কাজই শুরু হয়নি।"
🛒 সব্জি বাজারের উন্নয়নেও শুধুই লোক দেখানো কাজ? 🥦
বলরামপুর পাইকারী সব্জী বাজারে রাজ্য কৃষি বিপনন দপ্তর বরাদ্দ করেছিল লক্ষাধিক টাকা। উদ্দেশ্য ছিল অবিক্রিত সব্জী শুকিয়ে পরিবেশবান্ধব সার তৈরির ব্যবস্থা করা।
কিন্তু আজও সেই মেশিন চালু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে খোলা মাঠে পড়ে থেকে মেশিনগুলো একরকম অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে।
🤢 বাজারে দুর্গন্ধে নাকাল স্থানীয় মানুষ। পচা শাকসব্জির স্তূপ জমে যাচ্ছে, যেগুলো সহজেই রিসাইকেল করে সার বানানো যেত। প্রশাসনের যুক্তি—"মেশিন চালু করলে গন্ধ ছড়াবে, পরিবেশ খারাপ হবে।"
📉 অপচয় বনাম দায়িত্বহীনতা: প্রশ্ন তুলছে জনতা
✔️ যদি পরিবেশ সমস্যা হয়, তবে কেন সেই স্থানেই মেশিন বসানো হলো?
✔️ এত টাকা খরচ করে স্থাপন, অথচ চালুর আগে কোনো পরিকল্পনা নেই?
✔️ প্রশাসন চুপ কেন?
🗣️ এক স্থানীয় সব্জি বিক্রেতা বলেন:
“মেশিন চালু থাকলে আমরা আবর্জনা সরিয়ে ফেলতে পারতাম। এখন দুর্গন্ধে ক্রেতাও কমছে।”
🗣️ কে কী বললেন?
🔹 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাল্লাবতী কুমার বলেছেন,
"কেন প্রকল্প চালু হচ্ছে না তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।"
🔹 বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাত বলেন,
“তৃণমূল লোক দেখাতে মেশিন বসিয়েছে, কিন্তু বরাদ্দ টাকা লুটের উদ্দেশ্যেই।”
এই বক্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে প্রশাসনিক স্তরে স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধের অভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা।
⚠️ জনস্বার্থে অনুরোধ 🚨
নির্মল বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ-সচেতন প্রকল্প যদি বাস্তবায়িত না হয়, তবে তা শুধুই অপচয় নয়, মানবিক বিপর্যয়ও বটে।
জেলা প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে যন্ত্রপাতি ও মেশিন চালু করে প্রকল্পটি সচল করা।
অন্যথায়, কোটি টাকা খরচ করে জনগণের করের টাকা জলাঞ্জলি দেওয়ার সামিল হবে।