ঝালদার অপহৃত ব্যবসায়ী ধানবাদের জঙ্গল থেকে উদ্ধার।
দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকা ঝালদার ব্যবসায়ী লোকেশ গরাঁইকে উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার এক জঙ্গল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর পরিবারের স্বস্তি ফিরলেও, ঘটনার পিছনে থাকা উদ্দেশ্য এবং অপরাধীদের পরিচয় ঘিরে এখনও রহস্য কাটেনি।
লোকেশ গরাঁই, যিনি ব্রজপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় কয়লা ব্যবসায়ী, সোমবার ভোরে প্রতিদিনের মতো হেঁটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন।
তার সঙ্গেই ছিলেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা ভূগুরাম চালক। ভ্রমণের সময় ঝালদা-গোলা রোড ধরে তানাসির দিকে হাঁটার পথে একটি চারচাকা গাড়ি এসে সামনে দাঁড়ায়।
গাড়ির যাত্রীরা রাস্তা জিজ্ঞেস করার অজুহাতে লোকেশবাবুর কাছে আসে এবং আচমকাই তাঁকে গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। মুখে গামছা বেঁধে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে দেখে ভূগুরাম চালক দৌড়ে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরিবারের লোকজন লোকেশ গরাঁইকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তৎক্ষণাৎ স্ত্রী লতিতা গরাঁই ঝালদা থানায় একটি অপহরণ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপরতায় তদন্তে নামে। মোবাইল ট্র্যাকিং, সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন সূত্র ধরে দুই রাজ্যের সীমান্তে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
অবশেষে বুধবার সকালে ধানবাদ জেলার এক জঙ্গলঘেরা অঞ্চল থেকে অপহৃত লোকেশ গরাঁইকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণের মোটিভ হতে পারে ব্যবসায়িক শত্রুতা বা অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।
অপহৃত লোকেশ গরাঁই বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝালদা ও আশপাশের এলাকায়। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।