পুরুলিয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণে বরাদ্দ।

স্বাস্থ্য সুবিধার অভাবে দীর্ঘদিন সংকটের মুখে থাকা পুরুলিয়া জেলায় এবার প্রতিটি ব্লকে জনস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার নির্দেশনা এসেছে। 

রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ৬ মে পাঠানো অফিসিয়াল আদেশ অনুযায়ী, রাজ্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত ৩০ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার অর্থে রাজ্যের ৫১টি ব্লকে জনস্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

purulia health center nirman taka boraddo

পুরুলিয়া জেলায় চারটি ব্লকে এই প্রকল্পের জন্য এখন বরাদ্দ মঞ্জুর হয়েছে। পুরুলিয়া ১নং ব্লকের চাকোলতোড়, পুরুলিয়া ২নং ব্লকের কুস্তাউর, জয়পুর ব্লকের জয়পুর এবং রঘুনাথপুর ১ ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকার মধ্যে এই নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে উঠবে। 

প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৬ টাকা। মোট বরাদ্দ ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩ হাজার ৫৪৪ টাকা।

এর পাশাপাশি বান্দোয়ান ব্লকের লতাপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবন নির্মাণের জন্য আলাদাভাবে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কি শুধু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণেই সীমাবদ্ধ থাকবে? কারণ, অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন থাকলেও সেখানে ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে স্বাস্থ্যসেবা কার্যকর হচ্ছে না।

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাত মন্তব্য করেছেন, “পুরুলিয়া জেলায় কংগ্রেস আমলে গড়ে ওঠা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ আজ ভগ্নদশায় রয়েছে। 

সেখানে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। আড়ষা, মানবাজার ২নং ব্লকের বসন্তপুর, বান্দোয়নের গুড়ুর, জয়পুরের সিধি, নিতুড়িয়ার বড়তোড়িয়া, বলরামপুরের গেড়য়া সহ বহু ব্লকে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”

ঝালদা এলাকা মহকুমা ঘোষণা করা হলেও, এখনও পর্যন্ত সেখানে মহকুমা হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। তাই ঝালদার মানুষকে চিকিৎসার জন্য দূরবর্তী রাঁচী যেতে হচ্ছে।

নেপাল মাহাত আরও অভিযোগ করেন, “তৃণমূল সরকার শুধু ভবন নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ দিয়ে ঠিকাদারদের পোষাতে ব্যস্ত, কিন্তু চিকিৎসক নিয়োগ দেয়নি। স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url