ইউনিয়ন ক্লাবের উদ্যোগে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সম্মান।
শিক্ষাক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জন করা ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে এল পুরুলিয়া ইউনিয়ন ক্লাব। বৃহস্পতিবার ক্লাব প্রাঙ্গণে এক অনাড়ম্বর কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
পুরুলিয়া পুরসভা এলাকার বিভিন্ন স্কুলের শীর্ষ স্থানাধিকারী ছাত্রছাত্রীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, বই ও উপহার তুলে দেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মান জানানো হয় এই বছর জেলায় প্রথম স্থানাধিকারী এবং সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানাধিকারী মান্সী দাসকে।
মান্সীর কৃতিত্ব পুরুলিয়ার শিক্ষা-পরিমণ্ডলে অনুপ্রেরণার বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। তাকে ফুলের তোড়া, উত্তরীয় ও সম্মাননাপত্র দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। ক্লাবের এই উদ্যোগ উপস্থিত সকলের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ পবিত্র কুমার চক্রবর্তী।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের কৃতী ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনের সমাজ গঠনের স্তম্ভ। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় সমাজের জন্য গর্বের।” তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো ফল করাই নয়, প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার দিকেও তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ক্লাবের অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। পুরুলিয়া ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি জানান, “আমাদের এই উদ্যোগ প্রতিবছরই চলবে। ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করা, তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো এবং সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, এই ছাত্রছাত্রীরা একদিন দেশের গর্ব হয়ে উঠুক।”
অনুষ্ঠানে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের কৃতিত্বের গল্প তুলে ধরা হয়, যা নতুন প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
অভিভাবকেরা ক্লাবের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের সম্মাননা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। তারা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হয়।”
পুরুলিয়ার মতো জেলা শহরে শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তুলে ধরা খুবই জরুরি, যাতে সমাজে শিক্ষার গুরুত্ব আরও ছড়িয়ে পড়ে। ইউনিয়ন ক্লাবের এই প্রয়াস শিক্ষাক্ষেত্রে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।