বর্ষায় ড্রেন উপচে পুরুলিয়া শহরে নর্দমার জল ঢুকলো ঘরে।

🌧️পুরুলিয়া শহরে ১৮ ঘণ্টার টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত। ড্রেন পরিষ্কার না করায় সাহেব বাঁধ, নিমটাড়া, সাধুডাঙ্গাসহ একাধিক এলাকায় বাড়ির ভিতর ঢুকলো নর্দমার নোংরা জল। ক্ষোভে পথ অবরোধ করলেন বাসিন্দারা।🏠


borsay dren upche puruliya sohore nordomar jol ghuklo ghore


🌧️ পুরুলিয়া শহরে ১৮ ঘণ্টার টানা বর্ষণ — ডুবে গেল ঘরবাড়ি, ভেসে গেল বস্তি 😞

টানা ১৮ ঘণ্টার বৃষ্টিতে নাকাল পুরুলিয়া শহর। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি যেন গোটা শহরকে জলের তলায় নামিয়ে এনেছে। তবে প্রকৃত বিপর্যয়ের কারণ একটাই — পুরসভার সাফাই বিভাগের উদাসীনতা।


🏚️ শহরের একাধিক এলাকায় জলমগ্ন অবস্থা

📍 মুনসেফডাঙ্গা, সাহেব বাঁধের উল্টোদিক, ভাটবাঁধ মোড়, ময়রা বাঁধ, নিমটাড়া, দুলমী-নডিহা, ডিগুড়ি পাড়া—প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গৃহস্থ বাড়ি পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে নর্দমার নোংরা জল।

"ঘরের ভিতরেই যেন নর্দমা চলে এসেছে। সাপ, পোকামাকড়, ভাঙা মদের বোতল — সব ভেসে আসছে আমাদের শোবার ঘরে!" — বলছেন নিমটাড়ার এক বাসিন্দা।


🚫 সাফাই হয়নি ঠিকমতো, অভিযোগ পুরসভার বিরুদ্ধে

পুরুলিয়া পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। নাগরিকদের দাবি, ড্রেনগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলের তাণ্ডব নেমে আসে শহরে। এবারে তো রীতিমতো জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

  • ড্রেন পরিষ্কার না হওয়ায় জমে গেছে বর্ষার জল।

  • নর্দমা উপচে ঢুকছে মানুষের ঘরে।

  • একাধিক এলাকায় কোমর সমান জল।


🚨 সাধুডাঙ্গায় তীব্র অবস্থা, প্রাণ বাঁচাতে ছাদে আশ্রয় 😨

সাধুডাঙ্গা এলাকায় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে কেউ আশ্রয় নিয়েছেন ওভারব্রিজের নিচে, কেউ প্রতিবেশীর ছাদে। কোথাও কোমর সমান জল, কোথাও একতলা বাড়ি ডুবু ডুবু অবস্থায়।

🧑‍✈️ দমকল বাহিনী এসে উদ্ধার করে গৃহবন্দী মানুষদের।
👥 বুধবার সকালে ক্ষুব্ধ সাধুডাঙ্গাবাসী রাস্তা অবরোধে নামে।

“পৌরপ্রধানের বাড়ি এখান থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে, অথচ তার নজর নেই নিজের এলাকাতেই!” — ক্ষোভ ঝেড়েছেন এক বাসিন্দা।


📉 পুরপ্রধানের এলাকায়ই পরিষ্কার হয় না ড্রেন!

যেখানে পৌরপ্রধান নিজে ভোটে জিতে এসেছেন, সেই এলাকাতেই এমন অবস্থা! স্থানীয়দের প্রশ্ন — “আমরা কাকে বলবো আমাদের দুর্দশার কথা?” বর্ষা নামলেই যেন পুরুলিয়া শহরে দুর্ভোগ নেমে আসে নিয়ম করে। এই বছর প্রথম বর্ষাতেই শহর জলের তলায় চলে গেছে।


🛑 চন্ডীকর লেন, রথতলা, রেনী রোড — সর্বত্র একই দুর্দশা

পুরুলিয়া শহরের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই একই অবস্থা। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে নর্দমার জল। মদের বোতল, আবর্জনা রাস্তাজুড়ে। কোথাও শিশুদের স্কুলে যেতে পারছে না, কোথাও অসুস্থ রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাচ্ছে না।

"পাঁচ দিন ধরে আমাদের ড্রেন উপচে পড়ছে। পুরসভায় জানিয়েও কেউ আসে না। বৃষ্টির কথা আগাম জানানো হয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন!" — বলেন গাড়ীখানা এলাকার এক বৃদ্ধ।


⚠️ আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা ছিল, তবুও ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল এই টানা বর্ষণের কথা। কিন্তু পুরুলিয়া পুরসভা কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়নি। সাফাই হয়নি, ড্রেন খোলা হয়নি, পাম্প বসানো হয়নি। যার ফল শহরবাসীকে চরম মূল্য দিয়ে দিতে হচ্ছে।


📣 জনদাবি: অবিলম্বে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করুক পৌরসভা

শহরবাসীর একটাই দাবি—
✅ প্রতিটি ওয়ার্ডে ড্রেন পরিষ্কারের নির্দিষ্ট সময়সূচী চালু করতে হবে।
✅ জরুরি বর্ষা প্রস্তুতির জন্য আলাদা সাফাই বাহিনী নিযুক্ত করতে হবে।
✅ যারা দায়িত্বে থেকেও কর্তব্য পালন করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।


🗣️ উপসংহার

পুরুলিয়া শহরের এই বেহাল চিত্র শুধুই বৃষ্টি নয়, বরং পৌর প্রশাসনের উদাসীনতার প্রতিফলন। যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে সামনে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে শহরবাসীকে। প্রশাসনের উচিত মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url